ডলগাঁও ভিউ পয়েন্ট
ডলগাঁও ভিউ পয়েন্ট পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার একটি মনোরম পর্যটন স্থান, যা তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পাহাড়ি দৃশ্যের জন্য পরিচিত। এটি গোরুমারাজাতীয়উদ্যান এবং চাপড়ামারি বনাঞ্চলের কাছে অবস্থিত, যা পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ডলগাঁও ভিউ পয়েন্ট থেকে তিস্তা নদী এবং পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি অঞ্চলের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।
ডলগাঁও ভিউ পয়েন্টের প্রধান আকর্ষণ কি কি?
ডলগাঁও ভিউ পয়েন্ট থেকে নিকটবর্তী পাহাড়, বনাঞ্চল, এবং নদীর অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। ডলগাঁও থেকে স্পষ্টভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গ দেখা যায়, যা পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ।
ভিউ পয়েন্টটি নিরিবিলি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা, যা মানসিক শান্তি এনে দেয়।
প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান, যা ফটোগ্রাফারদের আকর্ষণ করে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে এখানে হালকা ট্রেকিং করার সুযোগ রয়েছে।
গোরুমারা এবং চাপড়ামারি বনাঞ্চলের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এটি একটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র।
ভিউ পয়েন্ট থেকে তিস্তা নদীর প্রবাহ দেখার সুযোগ মেলে।
কীভাবে পৌঁছাবেন ডলগাঁও ভিউ পয়েন্ট?
ডলগাঁও ভিউ পয়েন্টে পৌঁছানোর জন্য নিউ মাল রেলওয়ে স্টেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল।
রেলপথে যেতে হলে নিকটতম রেলস্টেশন হলো নিউ মাল জংশন, যা ডলগাঁও ভিউ পয়েন্ট থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে।নিউ মাল থেকে স্থানীয় গাড়ি বা ট্যাক্সি ভাড়া করে সহজেই ডলগাঁও ভিউ পয়েন্টে পৌঁছানো যায়।
সড়কপথে যেতে হলে শিলিগুড়ি থেকে ডলগাঁও ভিউ পয়েন্ট প্রায় ৬০ কিমি দূরে। শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি বা বাসে এখানে পৌঁছানো যায়।গোরুমারা জাতীয় উদ্যান বা চাপড়ামারি ভ্রমণের পর পর্যটকরা সহজেই ডলগাঁও ভিউ পয়েন্টে আসতে পারেন
বিমানপথে যেতে হলে নিকটতম বিমানবন্দর হলো বাগডোগরা বিমানবন্দর, যা ডলগাঁও থেকে প্রায় ৭৫ কিমি দূরে। বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে এখানে পৌঁছানো যায়।
ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময় কখন?
ডলগাঁও ভিউ পয়েন্টে ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ। এই সময়ে আবহাওয়া শীতল এবং মনোরম থাকে। এছাড়াও, শীতকালে পরিষ্কার আকাশে পাহাড় এবং নদীর দৃশ্য আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
ডলগাঁও ভিউ পয়েন্ট তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নিরিবিলি পরিবেশের জন্য পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি প্রকৃতিপ্রেমী এবং যারা শান্তি খুঁজছেন তাদের জন্য এক আদর্শ গন্তব্য। নিউ মাল রেলওয়ে স্টেশন থেকে এর সহজ সংযোগের কারণে এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।